অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুল হাসানসহ র্যাবের ৬ সদস্যের বিরুদ্ধে যশোরের আদালতে মামলা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্তরা র্যাব-১০ এ দায়িত্ব পালনকালে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, অর্থ আদায় ছাড়াও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে শিউলি খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। বিচারক অধিকতর তদন্তের জন্য মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত অন্যরা হলেন, র্যাব-১০ এর সাবেক সদস্য সুবেদার কাজী বদরুল আলম (বিজিবি), এসআই আইয়ুব হোসেন, এস.আই অশোক কুমার হালদার, এসআই আনিছুর জামান ও ইন্সপেক্টর মফিজুল আলম।
অভিযোগে বলা হয়েছে, এএসপি ফখরুল হাসান র্যাব-১০ এ দায়িত্ব পালনকালে ২০২২ সালের ১৪ এপ্রিল যশোরের ঝিকরগাছার কাশীপুর গ্রামের শাহজাহান ও তার নবম শ্রেণি পড়ুয়া সন্তান রায়হান কবিরকে তুলে নিয়ে একটি গোডাউনে আটকে রাখে। সেখানে দু’দিন বাবা-ছেলের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে ও ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জমি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লিখে নেয় এবং চেকের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করেন। এরপর সব হারিয়ে শাহজাহান মালয়েশিয়া যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং ২০২৩ সালের ২০ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার উদ্দেশ্য রওয়ানা দেন। কিন্তু আগের রাতে এএসপি ফখরুল হাসান ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে কেরানীগঞ্জ থানায় শাহজাহানকে আসামি করে ডাকাতি প্রস্তুতি ও অস্ত্র আইনে হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে প্রবাসে ফেরারী জীবন-যাপন করছেন শাহজাহান। এ ঘটনায় ন্যায় বিচার পেতে তার স্ত্রী আদালতে এ মামলা করেছেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ-আল-নোমান জানান, অভিযুক্তরা র্যাব-১০ এ দায়িত্ব পালনকালে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে জমি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, অর্থ আদায় ছাড়াও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে মামলার মাধ্যমে হয়রানি করেছেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে